জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শিষ্টাচার মেনে চলার অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। ক্লাস রুমেও কিছু আচারবিধি আছে, যা মেনে চললে শিক্ষার্থী নিজে যেমন উপকৃত হবে, তেমনি ক্লাসের সবাই সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবে। ছোটতুলাগাঁও মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীদের অনুসরণীয় ক্লাস রুমের শিষ্টাচার গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১. নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হও। অনিয়মিত ক্লাস করলে পড়া বুঝবে না। নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্লাসে উপস্থিত হলে ক্লাস নিতে শিক্ষকের এবং ক্লাসের অন্যদের মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে।
২. ক্লাসে শিক্ষক প্রবেশ করলে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাও। শিক্ষক আগে প্রবেশ করলে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করো।
৩. ক্লাসরুমে শিক্ষকের সামনে গা এলিয়ে দিয়ে বা পায়ের ওপর পা তুলে বসবে না। সোজা হয়ে বসো।
৪. ক্লাস চলাকালে ইশারায় ডাকাডাকি করা, ফিসফাস করা বা জোরে জোরে নিজেরা কথা বলা, কাগজ, রুমাল বা কোনো কিছু ছোড়াছুড়ি করবে না।
৫. ক্লাসে অন্য বই খুলে পড়া। দেখা কিংবা খাতার নিচে গল্পের বই লুকিয়ে রেখে পড়া, আড়ালে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকা, চুইংগাম বা মুখে কোনো খাবার চিবানো থেকে বিরত থাকো।
৬. ক্লাসে উদাসী হয়ে থাকবে না। মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের কথা শোনো। শিক্ষক কোনো প্রশ্ন করলে তার উত্তর দাও।
৭. কোনো কিছু বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করার অনুমতির জন্য হাত তোলো। শিক্ষক অনুমতি দিলে প্রশ্ন করো। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে শিক্ষককে বিব্রত করার চেষ্টা করবে না।
৮. শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে হলে একজন একজন করে বলো, কয়েকজন একসঙ্গে নয়।
৯. ক্লাস চলাকালে কিছু সময়ের জন্য শিক্ষক বাইরে গেলেও শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করো। কথা বলা, আসন ছেড়ে ওঠাসহ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না।
১০. নতুন শিক্ষককে তার প্রথম ক্লাস থেকেই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করো। আগের কোনো শিক্ষকের সঙ্গে তুলনা করবে না। তাকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয় সময় দাও।
১১. শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তার চেয়ার বা টেবিলে বসবে না। নিজেদের ডেস্ক বা হাই-বেঞ্চেও বসবে না।
একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ সপ্তাহের জন্য রসায়ন পাঠ্য বই থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীর চতুর্থ এ্যাসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের সাথে রসায়ন বিষয়ের চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্ট সঠিক নিয়মে সম্পন্ন করে জমা দিবে। এখানে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক একটি প্রতিবেদন লিখতে দেওয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞান বিভাগের বন্ধুরা, তোমরা কেমন আছো? আশা করছি ভালো আছো। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রায়শই আমাদেরকে ল্যাবরেটরীতে অবস্থান করতে হয়। ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক প্রতিবেদন ক্লাস এ সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহন।
একটি মাঠ হল একটি বৃহৎ তৃণআচ্ছাদিত মাঠ, যেখানে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আকারে সাধারণত উপবৃত্তের মত, এর মধ্যেও আবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে: কিছু প্রায় নিখুঁত বৃত্তের মত, কিছু লম্বাটে উপবৃত্তাকার এবং কিছু সম্পূর্ণ অনিয়মিত আকারের,- যার কোনও প্রতিসাম্য নেই – তবে তাদের সকলেরই সম্পূর্ণ বক্র সীমানা থাকে, তার কোন ব্যতিক্রম হয়না। মাঠের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মাত্রা থাকেনা তবে এর ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট (১৩৭ মি) এবং ৫০০ ফুটের (১৫০ মি) মধ্যেই হয়। বড় খেলাগুলির মধ্যে ক্রিকেট একটু অস্বাভাবিক (গল্ফ, অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল এবং বেসবল সহ) যেখানে পেশাদার খেলার জন্য নির্দিষ্ট আকারের কোনও স্থিরীকৃত নিয়ম নেই। বেশিরভাগ মাঠে, একটি দড়ি দিয়ে মাঠের পরিধি নির্দিষ্ট করা হয় এবং সেটি বাউন্ডারি নামে পরিচিত।
সীমানার মধ্যে এবং সাধারণত যতটা সম্ভব কেন্দ্রের কাছাকাছি, থাকে বর্গক্ষেত্র, যেটি সাবধানে প্রস্তুত ঘাসের একটি অঞ্চল।
গ্রন্থাগার সভ্য মানুষের জীবনযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমান কালে অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের বাড়িতেই জ্ঞান আনন্দলাভের জন্য গৃহ লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে যে সকল সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয়তা আমাদের মত শিক্ষাবঞ্চিত দেশের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি বা সাধারণ গ্রন্থাগার সকল মানুষের জ্ঞানের পিপাসা মেটায় আনন্দ দান করে। দেশের অজ্ঞতার অন্ধকার দূরীকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
গ্রন্থাগার দেশের গ্রন্থ-সচেতন মানসিকতার পরিচায়ক। গত জাতির সভ্যতার বার্তা বহন করে অগ্রগতির পথে নিয়ে যায়। গ্রন্থাগার নিরক্ষরতা দূরীকরণে যেমন সহায়ক, তেমনি জ্ঞান বৃদ্ধিরও সহায়ক। সুতরাং দেশে যত বেশি লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হবে ততই জ্ঞান পিপাসু মানুষ প্রেরণা ও অমৃতের স্বাদ করবে আস্বাদন। আর হবে জাতির উন্নতি।
ছোটতুলাগাঁও মহিলা কলেজে নবনির্মিত “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এ রয়েছে দুর্লভ সব আলোকচিত্র। সেখানে সাদাকালো ফ্রেমে আলো-ছায়ার মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, কৈশর, কলেজ জীবন, ’৫৪ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম, দেশ গঠন এবং ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত আলোকচিত্রগুলো।
এছাড়া সেখানে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্লভ দলিল, দেশি-বিদেশি পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ সময়কার প্রকাশিত সংবাদের ছবি ও আলোকচিত্র। আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা বেশকিছু চিঠি, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন বই। এখানে আলোকচিত্র ও শিল্পীর কারুকাজে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।